Theory Class 1st Semester - History of Art

চারুকলার শ্রেণিবিভাগ লিখুন।

১. চিত্রকলা : কতগুলো রেখার সমন্বয়ে, রং তুলির ব্যবহারে যে আবেগ-অনুভূতি, ভাব-উচ্ছাস সৃষ্টি হয় তাকে চিত্রের মাধ্যমে রূপায়িত করাকে চিত্রকলা বলা হয়।

২. সংগীতকলা : যে কলা মানব মনে সুরের মাধ্যমে আনন্দ ও অনুভূতির উদ্রেক করে, তাকে সংগীতকলা বলে।

৩. নৃত্যকলা : যে কলা অঙ্গের নানারূপ ভঙ্গীমায় সংগীত ও বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে দর্শকের মনে অপরিসীম আনন্দের খোরাক যোগায় তাকে নৃত্যকলা বলে।

৪. সাহিত্যকলা : মনের ভাব, আবেগ ও কল্পনাকে গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, কাব্য প্রভৃতি লেখার মাধ্যমে মানুষের মনে সৌন্দর্যবোধ সৃষ্টি করে এবং ছন্দ, রূপ ও শব্দ বিন্যাস দ্বারা মনে অফুরন্ত আনন্দ সৃষ্টি করে, তাকে সাহিত্যকলা বলে

৫. স্থাপত্যকলা : ইট, সুরকি, বালি, মাটি, পাথর, সুড়কি প্রভৃতি দিয়ে বাড়ি-ঘর, দালান-কোঠা-ইমারত নির্মাণের সু-কৌশলকে স্থাপত্যকলা বলে। স্থাপত্যকলা দর্শকের মনে এক বিস্ময়কর সৌন্দর্য অনুভূতি জাগায়। যেমন- তাজমহল

৬. ভাস্কর্যকলা : প্রস্তর, কাঠ, মাটি, সিমেণ্ট ইত্যাদি উপকরণের সাহায্যে খোদাই বা রিলিফ বা চারমাত্রিক উন্নতমানের শিল্প সৃষ্টি করে যা দর্শকের মনে আনন্দ-ভাব-বেদনা-উচ্ছ্বাস আনে, তাকে ভাস্কর্যকলা বলে।

৭. অভিনয়কলা : যে কলা বিষয়বস্তুকে কথাবার্তা ও অংগ-ভঙ্গীর মাধ্যমে মানুষের মনে রেখাপাত করে, সুনিপুণভাবে ভাব-আবেগ-উচ্ছাস প্রকাশ করে, তাকে অভিনয়কলা বলে। যেমন- নাটক, যাত্রা, আবৃত্তি ইত্যাদি।

কারুকলার শ্রেণি বিভাগ উল্লেখ করুন ?

১. মৃশিল্প : মাটি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন শিল্পকর্মকে মাটির শিল্প বা মৃশিল্প বলে। মৃশিল্প বাংলার প্রাচীন শিল্পকর্ম। এর প্রধান উপকরণ হল মাটি। পরিষ্কার এঁটেল মাটি দিয়ে দক্ষ হাতের নিপুণ কারুকার্যে যে শিল্পকর্ম তৈরি হয় তাকেই মৃশিল্প বলে। মাটির তৈরি শখের হাঁড়ি, টেরাকোটা, পুতুল, মাছ, পেয়ালা, সুরাই, ফুলদানি- এ সবই মৃশিল্পের নিদর্শন।

২. দারু শিল্প : কাঠ ব্যবহার করে বা খোদাই করে কোন কিছু তৈরি করার প্রক্রিয়াকে কাঠের কাজ বা দারু শিল্প বলা হয় । যারা কাঠের কাজ করে তাদের বলা হয় সূতার বা কাঠ মিস্ত্রী।

৩. সীবন শিল্প (Sewing/embroidery): হাত বা মেশিন সুই কাজের সাথে আলংকারিক নকশা গঠনের শিল্প বা প্রক্রিয়া।

৪. ধাতব শিল্প:

 ৫. কাগজ শিল্প :

৬. চর্ম শিল্প :

৭. বাঁশ ও বেতশিল্প :

৮. কাতাই শিল্প (Spinning):  তুলো থেকে সুতা কাটার পদ্ধতিকে বলে কাতাই। এবং তুলো চাষ সংগ্রহ সংরক্ষণতুনাই-ধুনাই-পাঁজা-সুতা কাটাএই সম্পূর্ণ পদ্ধতিকে একত্রে বলে কাতাই শিল্প

৯. রেশম শিল্প :

১০. বয়ন শিল্প ইত্যাদি।

টেরাকোটা কী ?

টেরাকোটা হল পোড়ামাটির ফলকের কারুকার্য। টেরাকোটা আমাদের দেশের অনেক প্রাচীন একটি মৃশিল্প। নকশা করা মাটির ফলক ইটের মতো পুড়িয়ে টেরাকোটা তৈরি করা হয়। এরূপ একটার পরে একটা ফলক জোড়া দিয়ে বড় আকারের নকশা বা ছবি তৈরি করা হয়। যা আমাদের দেশে প্রাচীন সভ্যতায়ও প্রচলিত ছিল।

কীভাবে টেরাকোটা তৈরি করা হয়? কোথায় এর ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায় ?

নকশা করা মাটির ফলক ইটের মতো পুড়িয়ে তৈরি করা হয় টেরাকোটা। পোড়ামাটির এই ফলক বাংলার প্রাচীন মৃশিল্প। মাটির ফলকে ছবি এঁকে তা শুকিয়ে পোড়ানোর পর এগুলো খুব সুন্দর হয়ে ওঠে। ছোট ছোট ফলকগুলো পাশাপাশি জোড়া দিয়ে বড় করা হয়। তাতে বিভিন্ন ধরনের বড় আকারের নকশা, লতাপাতা, ছবি প্রভৃতি ফুটে ওঠে। শালবন বিহার, মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার ও দিনাজপুরের কান্তজির মন্দিরে এই টেরাকোটার কাজ দেখতে পাওয়া যায়। হাজার বছর আগে টেরাকোটা বা পোড়ামাটির এসব কাজ এ দেশে শুরু হয়েছিল।

cÖkœ- 1 :     ÒwPÎKjv me© Kv‡ji me gvby‡li fvlvÕÕ Ñ e¨vL¨v Ki |  A_ev-

wPÎKjv‡K/ wkíKjv‡K AvšÍR©vwZK fvlv ejv nq †Kb ?

DËi : AvR‡Ki c„w_ex‡Z A‡bK †`k| wewfbœ †`‡k emevm K‡i wewfbœ ai‡Yi gvbyl | Avevi mevi fvlvI wfbœ wfbœ| GKRb gvby‡li c‡ÿ KL‡bvB me †`‡ki-me gvby‡li fvlv Rvbv I †evSv m¤¢e bq| wKš‘ fvlv bv Rvbv _vKv m‡Ë¡I †mme †`‡ki Rxeb, cwi‡ek I cÖK…wZ m¤ú‡K© Rvbv hvq Zvi wPÎKjvi gva¨‡g| wb‡Ri g‡bi fve wPÎKjvi gva¨‡g Ab¨ fvlvfvwl †jvK‡`i ‡evSv‡bv hvq gvZ…fvlvi g‡Zv K‡i| †hgbÑ evB‡ii †Kv‡bv ‡`‡k Drme Dc‡j‡ÿ¨ hw` wewfbœ ‡`‡ki gvbyl GK‡Î mg‡eZ nq, ZLb mevB mevi †`k, cwi‡ek I cÖK…wZ m¤^‡Ü Kxfv‡e Rvb‡e ? fvlv bv Rvbvi Kvi‡YB wek` Rvbv m¤¢e nq bv ev mg¨K aviYv cvq bv | G‡ÿ‡Î, GKgvÎ Qwe I wPÎKjvi fvlvi gva¨‡g †h‡Kvb †`‡ki, †h‡Kvb fvlvi †jvK‡K Zv AwZ mn‡RB eywS‡q †`Iqv hvq| ZvQvov, Avw`g gvby‡liv Qwei ØvivB Zv‡`i wb‡R‡`i gv‡S fve cÖKvk Ki‡Zv| KviY, ZLbI fvlv Avwe®‹…Z nqwb | cÖvPxb hy‡Mi †mB Avw`g gvby‡liv Rxehvcb I Rxeb avi‡Yi ZvwM‡`B Qwe AvuKv wk‡LwQj| Qwei gva¨‡gB P‡jwQj Zv‡`i g‡bi fve¸‡jvi Av`b-cÖ`vb| fvlv Avwe®‹…Z bv n‡jI wPÎKjvi Øviv Zviv Zv‡`i g‡bi fve cÖKvk K‡i‡Q fvlvq cÖKvk Kivi g‡Zv K‡i| Dc‡iv³ Av‡jvPbv †_‡K Avgiv wb:m‡›`‡n ej‡Z cvwi †h, ÒwPÎKjv n‡”Q me©Kv‡ji me gvby‡li fvlvÕÕ|

 

,,,

cÖkœ- 2 :     wPÎKjv †h AvšÍRv©wZK fvlv `kwU ev‡K¨ Zv cÖKvk Ki|

 

DËi : wPÎKjv AvšÍR©vwZK fvlv | G wel‡q `kwU evK¨ wb‡P D‡jøL Kiv n‡jvÑ

  1. c„w_exi wewfbœ †`‡ki gvby‡li fvlv wfbœ wfbœ, wKš‘ Qwei fvlv mevi Kv‡Q GKB ai‡bi |
  2. Qwei gva¨‡g g‡bi fve A‡b¨I Kv‡Q mn‡RB cÖKvk Kiv hvq |
  3. Avw`g hy‡Mi gvby‡liv †hvMv‡hv‡Mi gva¨g wn‡m‡e Qwe AvuKv‡KB †e‡Q wb‡qwQj |
  4. c„w_exi mKj gvbyl GKmv‡_ cwiwPZ nIqv hvq, Z‡e fve cÖKv‡ki Rb¨ PvB AvšÍR©vwZK fvlv Qwe |
  5. ‡Kv‡bv †`‡ki cÖvK…wZK cwi‡ek †KejgvÎ Qwei gva¨‡gB eySv‡bv hvq |
  6. Kg©‡ÿ‡Î A‡bK ‡`‡ki †jvK _vK‡j, wPÎKjvi gva¨‡g bvbv ai‡bi Kv‡Ri wb‡`©k †`Iqv hvq |
  7. wPÎKjvi gva¨‡g wb‡Ri †`‡ki Rxeb, cwi‡ek I cÖK…wZ m¤ú‡K© we‡k¦I mevi Kv‡Q Zz‡j aiv hvq |
  8. mgv‡Ri gvby‡li gv‡S DuPz-wbPz e¨eavb fzwj‡q w`‡Z cv‡i GKwU my›`i Qwe |
  9. GKRb gvby‡li c‡ÿ mKj fvlv †kLv m¤¢e bq wKš‘ QweB GKgvÎ AvšÍR©vwZKZvi cÖKvk |
  10.  ‡h‡Kv‡bv †`‡ki ms¯‹…wZ m¤ú‡K© Rvbvi me‡P‡q DËg I mnR c×wZ n‡jv Qwe AvuKv |

    প্রশ্ন : মিনিয়েচার চিত্রকলা বলতে কী বোঝায়  ?

    উত্তর :                                                                                                                                                                                            মিনিয়েচার চিত্রকলা এর ইংরেজি হচ্ছে Miniature painting. যার বাংলা আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে ক্ষুদ্র চিত্র বা অনুচিত্র  পাশ্চাত্যে মিনিয়েচার শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ miniāre (to colour red) থেকে যার অর্থরেড লেডবা সিসা থেকে উদ্ভূত লাল রং বা  লাল মেঠো সিঁদুর পাণ্ডুলিপি অলঙ্করণের কাজে এই রং ব্যবহার করা হত পাণ্ডুলিপির সূচনার প্রথম অক্ষরটিকে চিত্রায়িত করা হত এই রং দিয়ে  মধ্য যুগে ইউরোপে হাতে লেখা পুস্তক বা পুঁথির অভ্যন্তরে স্বল্প পরিসরে লাল মেঠো সিঁদুর দিয়ে  যে ক্ষুদ্র আকৃতির চিত্র বা অনুকৃতি করা হত তাকেই মিনিয়েচার পেইন্টিং বলা হয় এটি একটি বিশেষ ঘরানা চিত্রের একটি বিশেষ দর্শন মধ্যযুগে যার উদ্ভব বিকাশ ঘটেছিল ভারত বর্ষে মুঘল আমলে অনেক বিখ্যাত মিনিয়েচার চিত্র অঙ্কিত হয়েছে

    প্রশ্ন :  কোলাজ কাকে বলে ?

    উত্তর:                                                                                 কোলাজ হল শিল্প সৃষ্টির একটি অন্যতম কৌশল।এই কোলাজ শব্দটি এসেছে ফরাসি শব্দ 'coller' থেকে। Coller কথাটির অর্থ হল কোনো কিছু সাটা বা আঠা দিয়ে আটকানো। কোলাজ হল শিল্পকর্মের এমন এক রূপ যা বিভিন্ন বস্তুর টুকরোকে একত্রিত করে একটি নতুন শিল্পের জন্ম দেয়। ক্যানভাসে বা কাগজের বোর্ডে রঙিন কাগজ, কাপড়ের টুকরো, ছেঁড়া চট, সিগারেট প্যাকেট, নারকেলের ছোবড়া, খালি দেশলাইয়ের প্যাকেট বা দেশলাই কাঠি, গাছের ছাল ও পাতা, তুলো ইত্যাদি সাইজ মত ছিঁড়ে নিয়ে কেটে আঠা দিয়ে সাঁটা হয় এবং তা দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন রূপাকৃতি দৃশ্য সৃষ্টি করা হয়।এই ভাবেই নয়নাভিরাম যে চিত্র প্রস্তুত করা হয়, তাকেই কোলাজ চিত্র বা কোলাজ বলা হয়।রং তুলে ছাড়াও যে ছবি সৃষ্টি করা যায় কোলাজ পদ্ধতি তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কিউবিজম শিল্প আন্দোলনের শেষ পর্যায় এই কোলাজ পদ্ধতি উদ্ভব হয়। পিকাসোও কোলাজ পদ্ধতিতে কিছু ছবি করেছিলেন। কেউ কেউ পিকাসোকে কোলাজ পদ্ধতির উদ্ভাবক বলেন থাকেন।

    প্রশ্ন :  লোকশিল্প বলতে কী বোঝায়  ?                                                                                                                                                           উত্তর:                                                                                                                                                                                          গ্রামীণ জীবনযাত্রা, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, গ্রামীণ মেলা উৎসব ইত্যাদির চিত্র, দেয়ালে চিত্র ভাস্কর্যের রূপকেই লোকশিল্প বলেলোকশিল্প গ্রামীণ সমাজ জীবনকে প্রতিফলিত করে পটশিল্প এই লোকশিল্পের একটি অন্যতম প্রধান আঙ্গিক সংস্কৃতির চিত্রিত রূপই হল লোকশিল্প লোকশিল্প বা ফোক আর্টের উদাহরণ হল জগন্নাথের পট, কালীঘাটের পট, ঘোড়া, মুখোশ ইত্যাদি।                                                  

    লোকশিল্প সর্ম্পকে পাঁচটি বাক্য :                                                              

    ১। গ্রামের মানুষের তৈরি শিল্পকে বলে লোকশিল্প।                                                                                                      ২। লোকশিল্পের মধ্যে কাঠের তৈরি জিনিস, মৃৎপাত্র, মাটির পুতুল, বাঁশ-লোহা-কাঁশার তৈরি নানা জিনিস ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।                                                                                                                                        ৩। এসব জিনিসপত্র গ্রামীণ মানুষের ঐতিহ্যকে ধারণ করে।                                                                                      ৪। নকশী কাঁথা, জামদানি শাড়ি ইত্যাদি দেশের বাইরে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হয়।                                           ৫। লোকশিল্প সারা বিশ্বের মানুষের কাছে আমাদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরে।