সভাপতি

সভাপতি

সময় গতিশীল। সময়ের এই গতিময়তার সাথে সাথে পরিবর্তিত হয় সমাজ, পরিবর্তিত হয় চাকরির ধরণ ও প্রেক্ষাপট। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অভূতপূর্ব উন্নয়নের ফলে এই শতাব্দীর শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত একটি পরিবর্তনশীল গতিময় বিশ্বের সম্মুখীন হচ্ছে। এই নতুন পরিস্থিতিতে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর নির্দেশনা অনুসারে চারু ও কারুকলা বিষয়টি শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। আনন্দের বিষয় এই যে, ২০২২-২০২৩ খ্রিঃ অর্থবছর থেকে সারা দেশের সকল মাধ্যমিক স্কুলে চারু ও কারুকলা বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। পর্যায়ক্রমে প্রথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসাসহ অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানে চারু ও কারুকলা বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। তাই যারা শিক্ষকতার মহান পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চান, তাদের উচিৎ চারুকলা অ্যাডভান্সড সার্টিফিকেট কোর্সটি সম্পন্ন করা।

বেকারত্ব একটি অভিশাপ। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে জনশক্তি উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। আর এই বিশাল জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে উন্নীত করতে চাই কারিগরি শিক্ষার ব্যাপক প্রচার ও প্রসার। আশার কথা, ২০২১ সালের মধ্যে মোট শিক্ষিত জনগোষ্ঠির ২৫ শতাংশকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে সরকার নানামূখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সরকার এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য- যে লড়াই শুরু করেছে চারুকলা, স্বাস্থ্য ও শারীরিক শিক্ষা ইনস্টিটিউট সেই লড়াইয়ের শক্তিশালী অংশীদার।

একঝাঁক দক্ষ, অভিজ্ঞ, সুপ্রশিক্ষিত ডেডিকেটেড শিক্ষক/প্রশিক্ষক/ইনস্ট্রাক্টর দ্বারা চারুকলা, স্বাস্থ্য ও শারীরিক শিক্ষা ইনস্টিটিউটটি পরিচালিত হচ্ছে। এখানে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এ প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভাল বেতনে চাকরি করছে এবং স্ব-উদ্দ্যোগে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করছে; অপরদিকে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে হাজার হাজার বেকার পিয়নের চাকরি করছে।

শীর্ষস্থানীয় রেজাল্ট, সর্বাধিক এ+ প্রাপ্তি, স্বল্প খরচ, মেধাবৃত্তি প্রদান, উন্নতমানের লেকচার সীট, বিশ্ববিদ্যালয়/চারুকলা মহাবিদ্যালয়ের সুনামধন্য শিক্ষকদের দ্বারা পাঠদান, সর্বাধিক জব প্রাপ্তি ইত্যাদির জন্য ইনস্টিটিউটটি ইতিমধ্যে সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সারা দেশে সুপরিচিতি অর্জন করেছে।

যুগের চাহিদা অনুসারে শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ সাধন, উন্নত মেধাসম্পন্ন, সৃজনশীল, কর্মদক্ষ, আত্মপ্রত্যয়ী, দেশপ্রেমিক সুনাগরিক সৃষ্টি করাই চারুকলা, স্বাস্থ্য ও শারীরিক শিক্ষা ইনস্টিটিউট-এর লক্ষ্য।

পরিশেষে, চারুকলা, স্বাস্থ্য ও শারীরিক শিক্ষা ইনস্টিটিউটটি পরিচালনার ক্ষেত্রে যারা আন্তরিকভাবে মেধা, শ্রম ও অর্থ দিয়েছেন তাঁদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। অভিভাবক, মা, ভাই ও বোন সকলের প্রতি আমার আকুল আবেদন থাকবে - আপনার সন্তানকে চারুকলা,স্বাস্থ্য ও শারীরিক শিক্ষা ইনস্টিটিউট-এ ভর্তি করিয়ে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির সুযোগ নিন এবং আমাদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আপনার-আমার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে আসুন।

-------------ধন্যবাদ---------------